ইন্ডিয়ার বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (RC-I, Revolutionary Communist of India) মোদি-অমিত শাহের রাষ্ট্রকর্তৃক ভারতের ছাত্তিসগড়ে, সিপিআই(মাওবাদী) এর সাধারণ-সম্পাদক নাম্বালা কেশভ রাও(বাসভ রাজু) সহ অন্যান্য মাওবাদী যোদ্ধা এবং নিরীহ আদিবাসীদের নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায়। “এন্টি ইনসার্জেন্সি অপারেশন” নাম করে এইভাবে আইন-বহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে কর্পোরেটদের লুটপাট এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ব্যাকআপ দেয়ায় ভারত রাষ্ট্রের ছদ্মবেশ খুলে পড়েছে।
মোদী সরকারের তথাকথিত “অপারেশন কাগার” হলো শান্তির নামে ভারত ও বিদেশী বড় পুঁজিপতিদের, মধ্য ভারতের খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চল লুট করার জন্যে বাধাহীন পথ নির্মাণের এক সন্ত্রাসী যজ্ঞ। রাষ্ট্র কাঠামোগতভাবে মাওবাদী নেতা-কর্মী এবং আদিবাসীদের নিধন করছে, যাতে কর্পোরেট শোষণকে বাধা দেবার মতো কেউ না থাকে।
বিভিন্ন এক্টিভিস্ট, সাংবাদিক, প্রগতিশীল শক্তি এবং সিপিআই (মাওবাদী) এর নেতৃত্ব থেকে বারংবার শান্তি আলোচনার ডাক আসলেও, মোদি শান্তির পরিবর্তে রক্তগঙ্গার নীতিকে বেছে নিয়েছে। এই সরকার হুঙ্কার ছেড়ে ডাক দিয়েছে “২০২৬ সালেই ভারত মাওবাদী মুক্ত হবে”। এ কথার মর্ম হলো ভারতে সরকার এমন দেশ চায়, যেখানে থাকবে না গরিব-শোষিতদের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, থাকবে শুধু পুঁজিপতি ও কর্পোরেশনগুলোর লাগামহীন শাসন-শোষণ।
আর.সি(আই)(Revolutionary Communist of India) এই ধরনের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের তীব্র বিরোধী, একই সাথে তারা মনে করে মাওবাদী রাজনীতি স্ট্রাটেজিক ব্যর্থতার ফলে নাকানি-চুবানি খেয়েছে। সিপিআই(মাওবাদী)’র গেরিলা যুদ্ধের নীতি মূলত “কৃষক বিপ্লব” ত্বত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত, তাদের এ নীতি আসলে শহুরে শ্রমিকশ্রেণীর লড়াই থেকে বিছিন্ন, যারা কিনা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা গুড়িয়ে দিয়ে সকল নিপীড়িত মানুষের জন্যে কল্যাণকর সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলবার একমাত্র বিপ্লবী শক্তি। মাওবাদীরা শুধুমাত্র গ্রামকেন্দ্রিক গেরিলা যুদ্ধকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে শহর, ফার্ম, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি সর্বব্যাপী প্রলেতারিয়েতের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের তাৎপর্যকে থোরাই পাত্তা দিয়েছে।
এই ত্রুটিপূর্ণ নীতির ফলে রাষ্ট্রকর্তৃক রক্তক্ষয়ী আঘাতের বিপরীতে তারা একেবারে ধরাশায়ী হয়েছে। ব্যাপকস্তরে বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলবার পরিবর্তে, শুধু মিলিটারিবাদে মনযোগ দিতে গিয়ে মাওবাদীরা রাষ্ট্রের আক্রমণে খুব সহজে কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙ্গে-চুরে মিশমার হয়ে গিয়েছে।
আর,সি,(আই) মনে করে, শুধুমাত্র সংগঠিত শ্রমিকশ্রেনীর নেতৃত্বে সম্পৃক্ত কৃষকশ্রেণীর সংগ্রাম, প্রলেতারীয় গনতন্ত্র এবং আন্তর্জান্তিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই ভারতের বুক থেকে পুঁজিবাদ ও এই সিস্টেমের ডিফেন্ডার মোদী শাসনের নাম নিশানা মিটিয়ে দিতে পারে।
আমাদের দাবীঃ
-“অপারেশন কাগার” এবং ছাত্তিসগড়ে তাৎক্ষনিকভাবে রাষ্ট্রীয় হত্যা-দমন বন্ধ করা !
-মাওবাদী এবং আদিবাসীদের হত্যার আইনী তদন্ত করতে হবে !
-AFSPA,UAPA এর মতো আগ্রাসী আইন প্রত্যাহার করতে হবে !
মোদি মাওবাদী-মুক্ত রাম-রাজ্য ভারতের স্বপ্ন দেখলেও, জনগন চায় পুঁজিবাদী শোষণ এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন মুক্ত ভারত। তাই সহীহ মার্ক্সবাদী নীতির উপর প্রোথিত ও সর্বহারা শ্রেনীর নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী শ্রেণী সংগ্রামই জনগনকে প্রকৃত মুক্তি এনে দিতে পারে। ইন্ডিয়ার বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (RC-I, Revolutionary Communist of India) মোদি-অমিত শাহের রাষ্ট্রকর্তৃক ভারতের ছাত্তিসগড়ে, সিপিআই(মাওবাদী) এর সাধারণ-সম্পাদক নাম্বালা কেশভ রাও(বাসভ রাজু) সহ অন্যান্য মাওবাদী যোদ্ধা এবং নিরীহ আদিবাসীদের নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায়। “এন্টি ইনসার্জেন্সি অপারেশন” নাম করে এইভাবে আইন-বহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে কর্পোরেটদের লুটপাট এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ব্যাকআপ দেয়ায় ভারত রাষ্ট্রের ছদ্মবেশ খুলে পড়েছে।
মোদী সরকারের তথাকথিত “অপারেশন কাগার” হলো শান্তির নামে ভারত ও বিদেশী বড় পুঁজিপতিদের, মধ্য ভারতের খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চল লুট করার জন্যে বাধাহীন পথ নির্মাণের এক সন্ত্রাসী যজ্ঞ। রাষ্ট্র কাঠামোগতভাবে মাওবাদী নেতা-কর্মী এবং আদিবাসীদের নিধন করছে, যাতে কর্পোরেট শোষণকে বাধা দেবার মতো কেউ না থাকে।
বিভিন্ন এক্টিভিস্ট, সাংবাদিক, প্রগতিশীল শক্তি এবং সিপিআই (মাওবাদী) এর নেতৃত্ব থেকে বারংবার শান্তি আলোচনার ডাক আসলেও, মোদি শান্তির পরিবর্তে রক্তগঙ্গার নীতিকে বেছে নিয়েছে। এই সরকার হুঙ্কার ছেড়ে ডাক দিয়েছে “২০২৬ সালেই ভারত মাওবাদী মুক্ত হবে”। এ কথার মর্ম হলো ভারতে সরকার এমন দেশ চায়, যেখানে থাকবে না গরিব-শোষিতদের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, থাকবে শুধু পুঁজিপতি ও কর্পোরেশনগুলোর লাগামহীন শাসন-শোষণ।
আর.সি(আই)(Revolutionary Communist of India) এই ধরনের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের তীব্র বিরোধী, একই সাথে তারা মনে করে মাওবাদী রাজনীতি স্ট্রাটেজিক ব্যর্থতার ফলে নাকানি-চুবানি খেয়েছে। সিপিআই(মাওবাদী)’র গেরিলা যুদ্ধের নীতি মূলত “কৃষক বিপ্লব” ত্বত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত, তাদের এ নীতি আসলে শহুরে শ্রমিকশ্রেণীর লড়াই থেকে বিছিন্ন, যারা কিনা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা গুড়িয়ে দিয়ে সকল নিপীড়িত মানুষের জন্যে কল্যাণকর সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলবার একমাত্র বিপ্লবী শক্তি। মাওবাদীরা শুধুমাত্র গ্রামকেন্দ্রিক গেরিলা যুদ্ধকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে শহর, ফার্ম, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি সর্বব্যাপী প্রলেতারিয়েতের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের তাৎপর্যকে থোরাই পাত্তা দিয়েছে।
এই ত্রুটিপূর্ণ নীতির ফলে রাষ্ট্রকর্তৃক রক্তক্ষয়ী আঘাতের বিপরীতে তারা একেবারে ধরাশায়ী হয়েছে। ব্যাপকস্তরে বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলবার পরিবর্তে, শুধু মিলিটারিবাদে মনযোগ দিতে গিয়ে মাওবাদীরা রাষ্ট্রের আক্রমণে খুব সহজে কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙ্গে-চুরে মিশমার হয়ে গিয়েছে।
আর,সি,(আই) মনে করে, শুধুমাত্র সংগঠিত শ্রমিকশ্রেনীর নেতৃত্বে সম্পৃক্ত কৃষকশ্রেণীর সংগ্রাম, প্রলেতারীয় গনতন্ত্র এবং আন্তর্জান্তিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই ভারতের বুক থেকে পুঁজিবাদ ও এই সিস্টেমের ডিফেন্ডার মোদী শাসনের নাম নিশানা মিটিয়ে দিতে পারে।
আমাদের দাবীঃ
-“অপারেশন কাগার” এবং ছাত্তিসগড়ে তাৎক্ষনিকভাবে রাষ্ট্রীয় হত্যা-দমন বন্ধ করা !
-মাওবাদী এবং আদিবাসীদের হত্যার আইনী তদন্ত করতে হবে !
-AFSPA,UAPA এর মতো আগ্রাসী আইন প্রত্যাহার করতে হবে !
মোদি মাওবাদী-মুক্ত রাম-রাজ্য ভারতের স্বপ্ন দেখলেও, জনগন চায় পুঁজিবাদী শোষণ এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন মুক্ত ভারত। তাই সহীহ মার্ক্সবাদী নীতির উপর প্রোথিত ও সর্বহারা শ্রেনীর নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী শ্রেণী সংগ্রামই জনগনকে প্রকৃত মুক্তি এনে দিতে পারে।